২৭ মার্চ রাতে লাগেজ গোছাতে লাগলাম। আমার বউ এতো জামাকাপড় নিল যে মনে হচ্ছিল আমরা বোধয় নেপাল হতে আর ফিরবনা, সারা জীবন ওখানেই থাকব। সে নাকি প্রতিদিন একটা করে জামা পরবে। . . .
অফিস হতে গাড়ীর ব্যবস্হা করা হয়েছে, নুসরাত আপা ও বিদ্যৎদা আমাকে উত্তরা হতে তুলে নেবে। সকাল বেলা ফোন দিলাম, বললেন সমস্যা নেই, সময় মতো হাজির থাকবেন।
নর্থ টাওয়ারের সামনে দাড়িয়ে আছি, নুসরাত আপার খবর নেই। বেশ কিছুক্ষণ পর ফোন দিলেন, উনি নর্থ টাওয়ারের সামনে গাড়ী নিয়ে আছেন। আমি খুঁজে পেলাম না। আমি ফোন দিলাম, উনি বললেন অপেক্ষা করছেন। টেনশন। বউয়ের সামনে উজবুকের মতো দৌড়াদৌড়ি করলাম, ঘাম ঝরছে, এমাথা ওমাথা বারবার খুঁজলাম। অফিসের কোন গাড়ীই দেখলাম না।.. হঠাৎ নর্থ টাওয়ারের উল্টোপাশে একটেল অফিসের সামনে গাড়ীটি দেখতে পেলাম। মেজাজ গরম হয়ে গেল, এত বড় লাগেজ আর বউ নিয়ে টানা হেচড়া করে রাস্তার অপর পাশে আসলাম। সিনিয়র আপা তাই কিছু বললাম না।
গাড়ী বিদ্যৎদার জন্য অপেক্ষা করছে, কি সমস্যা !! বিদ্যৎদা লাগেজের জন্য তালা কেনতে গেছে, তালা পাচ্ছেনা। কপাল !!!!
আমরা ৬ জনই চলে এসেছি। ইমিগ্রেশনের কাজ দ্রুতই শেষ হলো। সমস্যা বাধলো বিদ্যৎদাকে নিয়ে, ওনার পাসপোর্টে সমস্যা। আগেরবার ইন্ডিয়া হতে এসেছেন, কিন্তু পাসপোর্টে সিল নেননি। কিভাবে, কিভাবে যেন ম্যানেজ করলো।
৩ নং টারমিনালে চেকিং শেষে বিমানের জন্য অপেক্ষা করছি, পরিচিত অনেককেই দেখতে পেলাম, ওয়ার্কশপে যাচ্ছে। আমি আর আমার স্ত্রী মিলে ১ টি লাগেজ নিয়েছি, অথচ নুসরাত আপা একাই বিশাল লাগেজ নিয়ে যাচ্ছেন। অবাক হলাম, উনি কি তবে দিনে ২ টা করে জামা পরবেন !!!বাংলাদেশ বিমানের চেহারা দেখে আঁতকে উঠলাম, টেপ খাওয়া, রং চটে গেছে, পাখার কাছে ভাঙ্গা। প্রথম বিমান ভ্রমন, কি জানি আছে কপালে !!
যথা সময়ে বিমান ছাড়ল। আমার স্ত্রী বিমান উড়ার সময় যেভাবে চোখ বন্ধ করে আমাকে আকড়ে ধরল, তার চেয়েও বেশী অবাক হালাম বিমান ক্রু'র চোখ মুখ খিচে সিট আকড়ে ধরা দেখে।
ক্ষুধা লেগে গিয়ে ছিল। ২ টা প্রাণের চকোলেট, ১ট কাশির সিরাপের মতো ভার্জিন ড্রিংক, ১ টা বার্গার আর ১টা ইউনুস সাহেবের শক্তি দই দিল। কি আর করা, তাই খেলাম।
মাত্র ১ ঘন্টার জার্নি, অপেক্ষা করতে থাকলাম ...
Thursday, September 24, 2009
নেপাল ভ্রমন এবং অন্যান্য - পর্ব ২
Wednesday, September 23, 2009
নেপাল ভ্রমন এবং অন্যান্য - পর্ব ১
আফিস হতে হঠাৎ জানাল, আমার নেপাল এর ওয়ার্কশপে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। খুব তাড়াতাড়িই অফিস হতে গ্রিন স্যিগনাল পেলাম। খবরটা শুনে ভালই লাগলো। আরো যখনজানলাম, সাথে ইচ্ছে করলে বউকেও নেওয়া যাবে. . আমার হাসি দু'কান অবধি লম্বা হল।
পাসপোর্ট নেই। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে দিলাম। আমার বউ একদিনে পাসপোর্ট পেয়ে গেলেও আমি পেলাম না। বিডিআর বিদ্রোহের কারনে ভেরিফিকেশন ছাড়াছেলেদেরকে পাসপোর্ট দিচ্ছিল না। টেনশনে পড়ে গেলাম। সময় খুব বেশী নেই।
৭ দিন পর ভেরিফিকেশন শেষে পাসপোর্ট পেলাম। অফিস হতেই AIR Ticket ব্যবস্হা হয়ে গেল। বাংলাদেশ বিমান, ২৮ মার্চ, দুপুর ১.১৫ ফ্লাইট। ৩ দিনের ওয়ার্কশপ, ২ দিন ছুটিনিয়ে শুক্র/শনিবার সহ ৭ দিনের লম্বা সফর। ছুটি না নিলে কিছুই দেখা হত না। এসেছি যখন ঘুরেই যাব।
নেপাল এ arrival visa'র ব্যবস্হা থাকলেও ঝামেলা এড়াতে নেপাল এম্বাসিতে ভিসার জন্য গেলাম। আমরা ৬ জনের টিম। আমার ৪ কলিগ, নুসরাত আপা, বিদ্যুৎ দা, সাব্বিরভাই, পপি আপা, আমি এবং আমার স্ত্রী।
বারিধারা লেকের পাশে নেপাল এম্বাসি, দেখলেই চেনা যায়। সকাল ১০টা হতে ১১টার মধ্যে আসতে হ্য়। আমরা পৌছালে কিছূক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী এসে পৌছাল। আমাদেরকাগজপত্র সব তৈরিই ছিল। ইন্টারনেট হতে ফরম ডাউনলোড করে নিয়েছি আর সাথে ওয়ার্কশপের Invitation Letter ও অফিস ID card।
পাসপোর্ট জমা দিলাম, বিকাল ৩ টায় ফেরত দিবে। সমস্যা হল বিদ্যুৎ দাকে নিয়ে। উনি ID card ফটোকপি করে আনেন নাই, বারিধারার আশেপাশে ফটোকপির দোকানওনেই। গাড়ি নিয়ে গেলেন বাঁশতলায়, ওখানে নাকি একটা ফটোকপির দোকান আছে। আমরা এম্বাসিতে অপেক্ষা করছি, উনি আর আসেননা। ফোন করি, ধরেনা। ড্রইভারকে ফোনকরলাম, উনি বিদ্যুৎ দাকে খুজছেন, পাচ্ছে না। আর এদিকে বিদ্যুৎ দা ড্রইভারকে খুজে বেরাচ্ছে। অগত্যা বিদ্যুৎ দা হেটেই এম্বাসি আসলেন, কিছুক্ষণ পর ড্রইভারও আসলো।আমরা হেসেই মরি!!
সবার পাসপোর্ট জমা হয়ে গেল, বিকাল ৩ টায় পাসপোর্ট নিয়ে আসলাম।
Sunday, September 20, 2009
রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ ...
ঈদ মোবারক।
সকল বন্ধুকে ঈদের শুভেচ্ছা।
ঈদের আনন্দে শুনুন কাজী নজরুল ইসলামের সেই বিখ্যাত গান ...
রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ ...