আফিস হতে হঠাৎ জানাল, আমার নেপাল এর ওয়ার্কশপে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। খুব তাড়াতাড়িই অফিস হতে গ্রিন স্যিগনাল পেলাম। খবরটা শুনে ভালই লাগলো। আরো যখনজানলাম, সাথে ইচ্ছে করলে বউকেও নেওয়া যাবে. . আমার হাসি দু'কান অবধি লম্বা হল।
পাসপোর্ট নেই। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে দিলাম। আমার বউ একদিনে পাসপোর্ট পেয়ে গেলেও আমি পেলাম না। বিডিআর বিদ্রোহের কারনে ভেরিফিকেশন ছাড়াছেলেদেরকে পাসপোর্ট দিচ্ছিল না। টেনশনে পড়ে গেলাম। সময় খুব বেশী নেই।
৭ দিন পর ভেরিফিকেশন শেষে পাসপোর্ট পেলাম। অফিস হতেই AIR Ticket ব্যবস্হা হয়ে গেল। বাংলাদেশ বিমান, ২৮ মার্চ, দুপুর ১.১৫ ফ্লাইট। ৩ দিনের ওয়ার্কশপ, ২ দিন ছুটিনিয়ে শুক্র/শনিবার সহ ৭ দিনের লম্বা সফর। ছুটি না নিলে কিছুই দেখা হত না। এসেছি যখন ঘুরেই যাব।
নেপাল এ arrival visa'র ব্যবস্হা থাকলেও ঝামেলা এড়াতে নেপাল এম্বাসিতে ভিসার জন্য গেলাম। আমরা ৬ জনের টিম। আমার ৪ কলিগ, নুসরাত আপা, বিদ্যুৎ দা, সাব্বিরভাই, পপি আপা, আমি এবং আমার স্ত্রী।
বারিধারা লেকের পাশে নেপাল এম্বাসি, দেখলেই চেনা যায়। সকাল ১০টা হতে ১১টার মধ্যে আসতে হ্য়। আমরা পৌছালে কিছূক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী এসে পৌছাল। আমাদেরকাগজপত্র সব তৈরিই ছিল। ইন্টারনেট হতে ফরম ডাউনলোড করে নিয়েছি আর সাথে ওয়ার্কশপের Invitation Letter ও অফিস ID card।
পাসপোর্ট জমা দিলাম, বিকাল ৩ টায় ফেরত দিবে। সমস্যা হল বিদ্যুৎ দাকে নিয়ে। উনি ID card ফটোকপি করে আনেন নাই, বারিধারার আশেপাশে ফটোকপির দোকানওনেই। গাড়ি নিয়ে গেলেন বাঁশতলায়, ওখানে নাকি একটা ফটোকপির দোকান আছে। আমরা এম্বাসিতে অপেক্ষা করছি, উনি আর আসেননা। ফোন করি, ধরেনা। ড্রইভারকে ফোনকরলাম, উনি বিদ্যুৎ দাকে খুজছেন, পাচ্ছে না। আর এদিকে বিদ্যুৎ দা ড্রইভারকে খুজে বেরাচ্ছে। অগত্যা বিদ্যুৎ দা হেটেই এম্বাসি আসলেন, কিছুক্ষণ পর ড্রইভারও আসলো।আমরা হেসেই মরি!!
সবার পাসপোর্ট জমা হয়ে গেল, বিকাল ৩ টায় পাসপোর্ট নিয়ে আসলাম।
Wednesday, September 23, 2009
নেপাল ভ্রমন এবং অন্যান্য - পর্ব ১
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment